ফাইভারের বেশি বেশি কাজ পাবার উপায়
"কাজ শিখলে, কাজের অভাব হয় না" এই কথাটি তখনি মিথ্যা হবে যখন আপনি কাজ শিখার পরও বসে থাকবেন। তবে আমার মতে ভালো ভাবে কাজ শিখলে আপনি নিজেই নিজের কাজের ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলতে পারেন।
আমাদের দেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ আগে কাজ শিখাকে গুরুত্ব না দিয়ে ইনকামকে গুরুত্ব দেয়, আর তার ফলেই সেই-সব মানুষেরা তাদের কাজটা ভালো ভাবে শিখতে পারে না। যদিও শিখে সেটা কাজ পাওয়া ক্ষেত্রে ততটা কার্যকর হয় না। আবার অন্য দিকে অনেকেই ইনকামকে গুরুত্ব না দিলেও কাজ শিখাটাকেও ঠিক তেমনি ভাবে গুরুত্ব দেয় না। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কাজ শিখার পর্যায়ে অন্যদের সফলতা দেখে নিজেই হতাশ হয়ে যান এই ভেবে, তারা এখনো সফলতার মুখ দেখেননি। আরো একদল লোক আছে যারা তাদের কাজের কোনো টাইম-টেবিল ঠিক রাখে না তারা মূলত কাজ শিখাটাকে নিজের hobby মতো দেখে এজন্য যখন ইচ্ছা হয় কাজ শিখতে বসে নাহলে না।
এই হলো পুরো বাংলাদেশের কাজ শিখা মানুষের ছোট্ট একটা উদাহরণ। এখন আশা যাক প্রশ্নে!
প্রথম প্রশ্ন হলো হলো: আমি কিভাবে শুরূর দিকে এগিয়ে যাবো যাতে করে উপরের সমস্যা গুলো সম্মুখিন না হতে হয় ?
উত্তর:
ফাস্ট যে জিনিসটি করতে হবে আপনাকে আগে সিরিয়াস হতে হবে। তারপর একটা নিখুঁত পরিকল্পনা বানাতে হবে যতক্ষন না পর্যন্ত আপনার পরিকল্পনাতে: কাজ শিখা থেকে শুরু করে একটি ভালো ইনকামের না পাওয়া যায়। এখানে পরিকল্পনাতে উল্লেখ করতে হবে কাজ শিখার পর কোন কোন ক্ষেত্র থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন কিংবা কিভাবে নিজের কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারবেন ইত্যাদি।
এখন এক-এক ক্যাটাগরির এক-এক রকম প্লান আছে। আপনি আগে কোন সেক্টরে কাজ ভালো ভাবে শেখবেন সেটা সিলেক্ট করে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে। যদি এই সেক্টর বাছাই পর্বটি ভালো করে না করেন পরবর্তীতে আপনার কাজের লাইন ঠিক থাকবে না। আর কাজের লাইন ঠিক না থাকলে কোনো কাজই সঠিক ভাবে শিখতে পারবেন না।
পরিকল্পনা করার আগে আপনি অভিজ্ঞ চেনা জানা অথবা নেট ঘেটে কিছু গাইডলাইন মূলক তথ্য নিতে হবে।
সব থেকে জরূরি বিষয় হলো কাজ শিখার ৫ মাসের মধ্যে আপনার মাথায় ইনকামের চিন্তা আনা যাবে না। প্রতিদিন নিয়ম মাফিক কাজ শিখতে হবে। আশা করা যায় আপনি ৬-৮ মাসের ভিতর কাজ পাওয়া শুরু করবেন এবং আপনার কাজের ক্ষেত্রতা আরো দিনে দিনে বাড়তে থাকবে।
এখন তাহলে শেষ কথা হলো যারা কাজ ঠিক ভাবে শিখতে পারে নি তাদের কাজের অভাব আছে। আর যারা কাজ ঠিক ভাবে শিখেছে তাদের ক্ষেত্রে সে নিজেই কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারবে আবার অন্য কারো আন্ডারে থেকেও কাজ করতে পারবে। যাকে বলে এক ডিলে দুই পাখি তবে নিশানা ঠিক রাখতে হবে এটাই আসল কথা