Jai Bhim Review in bangla | জয় বিম বাংলা রিভিউ
Movie Name: Jai Bhim(2021)
Genre: Drama
IMDB: 9.5/10(Changeable)
Run Time: 2h 44m
(Spoiler Alert)
(Hindi Dubbed Available)
আমাদের উপমহাদেশে একটা বিষয় খুবই পরিলক্ষিত যে উপজাতিদের উপর বৈষম্য, তাদের এখনো অনেক দিক থেকে হয়তো আমাদের গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া বাকি আছে। তাদের সামাজিকতা,তাদের অধিকার অনেকাংশেই ক্ষুণ্ণ হয় প্রতিনিয়ত। তো এই মূল বিষয় গুলোকেই যেনো এই মুভিতে আমাদেরকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে।
এই মুভির ঘটনা টি একটি বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। সময় তখন ১৯৯৫ সাল, তামিলনাড়ুর ভিল্লাপুরাম জেলার ইরুলা উপজাতি, যারা সাপ-ইঁদুর ধরে সামান্য আয় রোজগার করে চলে। কিন্তু তখনো তাদের সেভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না, স্কুলে পড়তে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না। তাদের জাতের নাম শুনেই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়, আর সেই সাথে যেনো শাস্তির মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে অন্যের শাস্তিটা তাকেই বহন করতে হয়। কিন্তু তারা জাতিগতভাবে খুবই সহজ-সরল ও শান্তিপ্রিয় মানুষ।
তো তাদের মাঝেই একজন ছিল রাজাকুন্না যে তার ছোট ফ্যামিলি নিয়ে চলে যাচ্ছিল একরকম, তো একসময় তার স্ত্রী গর্ভবতী হয়,তো সে সময় তার গ্রামের পঞ্চায়েতের বাড়িতে সাপ ধরতে হবে বলে তার ডাক পড়ে,কিন্তু সেই সাপ ধরতে গিয়েই যেনো তার এক বিপদ সে নিজে ডেকে আনে। পঞ্চায়েতের বাড়িতে এক চুরির ঘটনা ঘটলে রাজাকুন্নার ফুটপ্রিন্ট পেয়ে তাকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সাথে তার আরো কয়েকজন পরিচিত মানুষদের ও নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তারা তো চুরি করেনি আর চুরির সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক ও নেই কিন্তু তাদের প্রচুর পরিমাণে টর্চার করা হয়, নিষ্ঠুরতার যেনো চরম মাত্রায় চলে গিয়েছিল সেটা। পুরুষ-মহিলাদের যেভাবে সম্ভব সেভাবে মেরেছে। টর্চারিং এর একটা সীনে আমার অন্তরাত্মা যেনো শুকিয়ে গিয়েছিল।
রাজাকুন্নার গর্ভবতী স্ত্রী ও এই পুলিশের টর্চারিং থেকে রেহাই পায় নি, কিন্তু তবুও সে দমে যায় নি। এই গর্ভবতী অবস্থাতেই সে তার স্বামীর জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে। এক হার না মানা নারী, যে তার বিবেক কে কোনো ভাবেই হারতে দেয় নি,বা নিজের অবস্থার কাছে নত হয় নি শত কষ্টের পরেও।
এই মুভিতে মূল ভুমিকায় ছিলেন সুরিয়া, যিনি আইনজীবী চন্দ্রার রোলে অভিনয় করেছেন। আর সুরিয়ার অভিনয় এর তারিফ করে শেষ করা যাবে না। উনার লুকটাও ছিল মানানসই ও সুন্দর। আর এই মুভির কোর্ট রুম ড্রামাটিক অভিনয় টায় তিনি নিজের সেরাটাই দিয়েছেন। তিনি ছিলেন এক নির্ভীক আইনজীবী, অন্যায়ের ব্যাপারে কখনো কোনো আপোষ করেন নি। আর রাজাকুন্নার এই কেস টা ছিল চেন্নাই হাইকোর্টের তৎকালীন সবচেয়ে লম্বা কেস, আর এজন্য তাকে প্রচুর এফোর্ট দিতে হয়েছে, লড়তে হয়েছে ওয়ান ম্যান আর্মির জন্য। কিন্তু তিনি বিনিময়ে উনার কোনো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে একটাকাও নেন নি
এই মুভিটায় একটা থ্রিলিং ব্যাপার দারুণভাবে কাজ করেছে, এই মুভির গল্পটা আমাকে যেনো পুরোটা সময় ম্যাগনেটাইজ করেছে। দুর্দান্ত ছিল মুভিটা
যে কেউ এই মুভি দেখে মুগ্ধ হতে বাধ্য, আর এন্ডিং টা ছিল খুব স্যাটিসফাইং।
Genre: Drama
IMDB: 9.5/10(Changeable)
Run Time: 2h 44m
(Spoiler Alert)
(Hindi Dubbed Available)
আমাদের উপমহাদেশে একটা বিষয় খুবই পরিলক্ষিত যে উপজাতিদের উপর বৈষম্য, তাদের এখনো অনেক দিক থেকে হয়তো আমাদের গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া বাকি আছে। তাদের সামাজিকতা,তাদের অধিকার অনেকাংশেই ক্ষুণ্ণ হয় প্রতিনিয়ত। তো এই মূল বিষয় গুলোকেই যেনো এই মুভিতে আমাদেরকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে।
এই মুভির ঘটনা টি একটি বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। সময় তখন ১৯৯৫ সাল, তামিলনাড়ুর ভিল্লাপুরাম জেলার ইরুলা উপজাতি, যারা সাপ-ইঁদুর ধরে সামান্য আয় রোজগার করে চলে। কিন্তু তখনো তাদের সেভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না, স্কুলে পড়তে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না। তাদের জাতের নাম শুনেই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়, আর সেই সাথে যেনো শাস্তির মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে অন্যের শাস্তিটা তাকেই বহন করতে হয়। কিন্তু তারা জাতিগতভাবে খুবই সহজ-সরল ও শান্তিপ্রিয় মানুষ।
তো তাদের মাঝেই একজন ছিল রাজাকুন্না যে তার ছোট ফ্যামিলি নিয়ে চলে যাচ্ছিল একরকম, তো একসময় তার স্ত্রী গর্ভবতী হয়,তো সে সময় তার গ্রামের পঞ্চায়েতের বাড়িতে সাপ ধরতে হবে বলে তার ডাক পড়ে,কিন্তু সেই সাপ ধরতে গিয়েই যেনো তার এক বিপদ সে নিজে ডেকে আনে। পঞ্চায়েতের বাড়িতে এক চুরির ঘটনা ঘটলে রাজাকুন্নার ফুটপ্রিন্ট পেয়ে তাকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সাথে তার আরো কয়েকজন পরিচিত মানুষদের ও নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তারা তো চুরি করেনি আর চুরির সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক ও নেই কিন্তু তাদের প্রচুর পরিমাণে টর্চার করা হয়, নিষ্ঠুরতার যেনো চরম মাত্রায় চলে গিয়েছিল সেটা। পুরুষ-মহিলাদের যেভাবে সম্ভব সেভাবে মেরেছে। টর্চারিং এর একটা সীনে আমার অন্তরাত্মা যেনো শুকিয়ে গিয়েছিল।
রাজাকুন্নার গর্ভবতী স্ত্রী ও এই পুলিশের টর্চারিং থেকে রেহাই পায় নি, কিন্তু তবুও সে দমে যায় নি। এই গর্ভবতী অবস্থাতেই সে তার স্বামীর জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে। এক হার না মানা নারী, যে তার বিবেক কে কোনো ভাবেই হারতে দেয় নি,বা নিজের অবস্থার কাছে নত হয় নি শত কষ্টের পরেও।
এই মুভিতে মূল ভুমিকায় ছিলেন সুরিয়া, যিনি আইনজীবী চন্দ্রার রোলে অভিনয় করেছেন। আর সুরিয়ার অভিনয় এর তারিফ করে শেষ করা যাবে না। উনার লুকটাও ছিল মানানসই ও সুন্দর। আর এই মুভির কোর্ট রুম ড্রামাটিক অভিনয় টায় তিনি নিজের সেরাটাই দিয়েছেন। তিনি ছিলেন এক নির্ভীক আইনজীবী, অন্যায়ের ব্যাপারে কখনো কোনো আপোষ করেন নি। আর রাজাকুন্নার এই কেস টা ছিল চেন্নাই হাইকোর্টের তৎকালীন সবচেয়ে লম্বা কেস, আর এজন্য তাকে প্রচুর এফোর্ট দিতে হয়েছে, লড়তে হয়েছে ওয়ান ম্যান আর্মির জন্য। কিন্তু তিনি বিনিময়ে উনার কোনো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে একটাকাও নেন নি
এই মুভিটায় একটা থ্রিলিং ব্যাপার দারুণভাবে কাজ করেছে, এই মুভির গল্পটা আমাকে যেনো পুরোটা সময় ম্যাগনেটাইজ করেছে। দুর্দান্ত ছিল মুভিটা
